বগুড়ার শেরপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত জিয়াউর বাঁচতে চায়

শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি :

প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে আমরা কতভাবেই কত টাকাইনা ব্যায় করে থাকি। কেউ জন্মদিনের অনুষ্ঠান, বিবাহ বার্ষিকী, নামিদামি হোটেলে আড্ডা ও বনভোজন করে টাকা ব্যায় করি। কিন্তু আমাদের চারপাশে কে কেমন আছে কিভাবে আছে তা একটু তাকিয়ে দেখারো সময় পাইনা। “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য” এই কথা যদি একটু হলেও সত্য হয় তাহলে আসুন আমরা জিয়াউরের বেচে থাকার আকুতিতে সাড়া দেই। বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হতদরিদ্র ফয়জাল আকন্দের ছেলে জিয়াউর রহমান ২০০৬ সালের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে জন্ম গ্রহন করে। তার বাবা-মা দু- জনই অন্যের চাতালে কাজ করে। জন্মের ২৫ মাস বয়সে বিরল রোগে আক্রান্ত হয় জিয়াউর। এমন এক রোগ যে, তার বয়স বাড়ে কিন্তু শারিরীক ভাবে বড় হয়না অথচ সে বীরবামোনো নয়। তাকে দেখে মনে হয় সে ৬/৭ বছরের শিশু। মাঝে মধ্যেই তার সমস্ত শরীর ফুলে যায়। ঔষধ খাওয়ার পরে আবার ঠিক হয়ে যায়। নামিদামি অনেক ডাক্তার দেখানো হলেও তার রোগ ধরতে পারেনি কেউই। কোন উপায় না দেখে তাকে পরিবারের লোকজন পুনরায় বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে এক চিকিৎসক সেফটিড ডিএস ও সিনরইড নামের দুইটি ঔষধ দেয়। সেই ঔষধ খেয়ে কিছুটা ভাল থাকে জিয়াউর। ঔষধ একদিন না খেলেই শ্বাস- প্রশ্বাসে সমস্যা হয় ও হাত পা ফুলে যায়। ঔষধগুলোর এতো দাম যে, হতদরিদ্র চাতাল শ্রমিক ফয়জালের পক্ষে সেই ঔষধ ক্রয় করার সামর্থ তার নেই। একই রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা না পেয়ে জিয়াউরের বড় ভাই মারা যায় । তাই জিয়াউর ভিশন চিন্তিত। সে অন্য সবার মত বাঁচতে চায়। স্কুলে যেতে চায়। লেখাপড়া শিখে চাকরী করে বাবা মায়ের কষ্ট দুর করতে চায়। সরকার যদি এই শিশুটিকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসা দেন তাহলে হয়তো এই কিশোরটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে পেতে পারে সমাজের অন্য সুস্থ্য কিশোরদের মত প্রান চাঞ্চল্যতা। এই বিরল রোগে আক্রান্ত কিশোরের প্রান চাঞ্চল্যতা ফিরিয়ে আনতে সরকার ও সমাজের সহৃদয়বান এবং বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে (জবা খাতুন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, শেরপুর হাইওয়ে শাখা, বগুড়া। এ্যাকাউন্ট নং ২০৫০১৭৩০২০১৩১২০০৬) এই এ্যাকাউন্টে অনুদান প্রদানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন জিয়াউরের বাবা-মা।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment